কোষ্ঠ কাঠিন্য বর্তমান সময়ের একটি কমন রোগ। বহু মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। সঠিক চিকিৎসার অভাবে এই রোগ অনেক সময় জটিল আকার ধারণ করে, যা দীর্ঘমেয়াদী যন্ত্রণার কারণ হয়ে উঠতে পারে।
কোষ্ঠকাঠিন্য একটি অস্বাভাবিক শারীরিক অবস্থা যখন একজন ব্যক্তি সহজে মলত্যাগ করতে সক্ষম হন না। সাধারণত: এক-দুই দিন পরপর মলত্যাগের বেগ হওয়া এবং শুষ্ক ও কঠিন মল নিষ্কাশন কোষ্ঠকাঠিন্য বলে পরিচিত।
কোষ্ঠকাঠিন্য নানা কারণে হতে পারে। যেসব কারনে কোষ্ঠকাঠিন্য হয় তা নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ-
সুষম খাবার,
আঁশজাতীয় খাবার কম খাওয়া,
পানি কম পান করা,
শর্করা বা আমিষ যুক্ত খাবার অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া,
ফাস্টফুড,
মশলাযুক্ত খাবার বেশি খাওয়া,
সময়মত খাবার না খাওয়া,
কায়িক পরিশ্রম কম করা,
দুশ্চিন্তা করা,
বিভিন্ন রোগ যেমন ডায়াবেটিস,
মস্তিষ্ক রক্তক্ষরণ বা টিউমার,
থাইরয়েডের সমস্যা,
অন্ত্রনালীতে ক্যান্সার,
কাঁপুনিজনিত রোগ, স্নায়ু রজ্জুতে আঘাত,
দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগ ইত্যাদি হওয়া,
দীর্ঘদিন বিছানায় শুয়ে থাকা,
বিভিন্ন ধরনের ওষুধ, ডায়রিয়া বন্ধের ওষুধ, পেট ব্যথার ওষুধ, উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ খাওয়া, পেপ্টিক আলসার এর ওষুধ,
খিঁচুনির ওষুধ, আয়রন,
ক্যালসিয়াম ও অ্যালুমিনিয়াম সমৃদ্ধ ওষুধ সেবন করা কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ।
এছাড়াও বিভিন্ন কারণে এ সমস্যা দেখা দেয়। তবে অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাস কোষ্ঠকাঠিন্যের পেছনে প্রধান ভূমিকা পালন করে।
কোষ্ঠকাঠিন্য একটি বিরক্তিকর ও যন্ত্রণাদায়ক সমস্যা। তাই আমাদের এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে টোটাল ন্যাচারাল কোম্পানী নিয়ে এসেছে সেনোকট। সেনোকটে রয়েছে সোনা পাতা এক্সট্রাক্ট, মৌরী, এলোভেরা বা ঘুতকুমারী, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম যা খুবই চমৎকার ভাবে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
সেনোকট একটি ভেষজ ঔষধ যার মধ্যে রয়েছে সোনা পাতা বা সেনামাক্কী থেকে পাওয়া যায় রাসায়নিক উপাদান সেনোসাইড। সোনা পাতায় বিদ্যমান এনথ্রানয়েড রেচক হিসেবে কাজ করে এবং হজম প্রক্রিয়াকে সক্রিয় করে। এতে কোলনের সঞ্চালন উদ্দীপিত হয়। ফলে খুব অল্প সময়ে এবং খুব সহজেই মল দেহ থেকে বাইরে নিষ্কাষিত হয়। সোনা পাতা কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের জন্য তাৎক্ষণিক চিকিৎসা হিসাবে ব্যবহৃত হয়। অস্ত্রপচারের পূর্বে অন্ত্রকে খালি করার জন্য ইহা ব্যবহার করা হয়। সোনা পাতা সাধারণত ৬ থেকে ১২ ঘন্টার মধ্যে অন্ত্রের কাঙ্খিত নড়াচড়া ঘটায়। ইউরোপে ঔষধের মান নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা ”জার্মান কমিশন ই” কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য সোনা পাতা ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে।
মৌরী বিভিন্ন ধরণের পরিপাকীয় সমস্যায় কাজ করে যেমন – বুকজ্বালা পোড়া, অন্ত্রের গ্যাস, পেট ফাঁপা, ক্ষুধামান্দা, এবং শিশুর পেটে ব্যাথা।
এলোভেরা (ঘৃতকুমারী) থেকে দুই ধরণের পদার্থ পাওয়া যায়, যেমন- জেল এবং ল্যাটেকা্র (খীর), যা ঔষধ হিসাবে ব্যবহৃত হয়। আলসারেটিভ কোলাইটিস (ক্ষতের জন্য ব্যাথা) এবং পেটের অন্যান্য রোগের জন্য এ্যালো জেল খাওয়া হয়। সাধারণত কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের জন্য এ্যালো লেটেক্স খাওয়া হয়।
ক্যালসিয়াম অনিয়মিত কোষ্ঠকাঠিন্যের চিকিৎসায় মল নরমকারক হিসাবে ব্যবহৃত হয়। ইহা অন্ত্রের মল থেকে পানি শোষণ বাড়িয়ে দেয়, যার ফলে মল নরম হয় এবং সহজে বের হতে পারে। মাংসপেশীর কার্যকারীতা (অন্ত্রের মাংসপেশী মসৃণ করা), নার্ভ ট্রান্সমিশন (কোলোরেকটাল স্নায়ুতন্ত্র), কোষের ভিতরের সিংগনালিং এবং হরমোন নিঃসরণের জন্য ক্যালসিয়াম প্রয়োজন।
ম্যাগনেসিয়াম একটি খনিজ লবণ যা আমাদের শরীরে তুলনামূলকভাবে বেশী মাত্রায় থাকে। কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের জন্য ম্যাগনেসিয়াম পিচ্ছিলকারক হিসাবে ব্যবহৃত হয়। ম্যাগনেসিয়াম অন্ত্রের অম্লকে প্রশমিত করে এবং মলকে অন্ত্রে পরিবহণ করে।
Reviews
There are no reviews yet.