প্রোবায়োটিক হচ্ছে মানুষের অন্ত্রে স্বাভাবিকভাবে বসবাসকারী ভাল বা উপকারী ব্যাকটেরিয়া সমূহ। যদিও ব্যাকটেরিয়া বলতে সাধারণত জীবাণু বুঝায়। ব্যাকটেরিয়া সাধারণত ২ ধরনের হয়ে থাকে। এদের একটি উপকারী ব্যাকটেরিয়া এবং অপরটি ক্ষতিকর ব্যাকরেরিয়া। উপকারী ব্যাকটেরিয়া সমূহকে আমরা প্রোবায়োটিক বলে থাকি। উপকারী ব্যাকটেরিয়াগুলি আমাদের শরীরের স্বাভাবিক কাজ ও স্বাস্থ্য রক্ষা করে এবং ক্ষতিকর জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। অন্যদিকে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া অন্ত্রের মাইক্রোফ্লোরার স্বাভাবিক ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়, যার ফলে আমরা অসুস্থ্য হয়ে পড়ি ও রোগাক্রান্ত হই।
ডায়রিয়া এর ক্ষেত্রে প্রো-বি-
আপনি কি জানেন ?
বিশ্বজুড়ে শিশু মৃত্যুর দ্বিতীয় বৃহত্তম কারণ হলো ডায়রিয়া। সারা বিশ্বে প্রতিদিন গড়ে ২,১৯৫ জন শিশু মারা যায় শুধু মাত্র ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে, যা কিনা এইডস, ম্যালেরিয়া এবং হাম এ আক্রান্ত মোট রোগীর থেকেও বেশি।
যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে যায়, বিশেষ করে বন্যার সময়। বাংলাদেশে শিশুমৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হলো ডায়রিয়া। শুধু মাত্র বাংলাদেশেই প্রতি বছর ৫ বছর এর কম বয়সী ৪৫,০০০ শিশু ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। ডায়রিয়ার কারণে দুর্বল হয়ে পড়া শিশুদের নিউমোনিয়া ও হামে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে।
আই বি এস এর ক্ষেত্রে প্রো-বি—
আই বি এস হচ্ছে ইরিটেবল বাউয়েল সিনড্রোম যা অন্ত্রের স্বাভাবিক কার্যক্রমকে ব্যাহত করে । এই রোগে পেট ব্যথা, পেটে গ্যাস, পেট ফুলে থাকে , কখনও পাতলা পায়খানা ও কখনও কোষ্টকাঠিন্য হয়। অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়া কমে গেলে অন্ত্রের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়ে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে প্রোবায়োটিক সেবন করলে অন্ত্রের স্বাভাবিক কাজকর্ম ঠিক থাকে, যেমন উপকারী ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি ঘটে এবং অন্ত্রের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসে।
হজমশক্তি বাড়াতে প্রো-বি –
বর্তমানে খাদ্যাভ্যাস, চিন্তা, অনিদ্রার মত সমস্যাগুলির কারণে পাচনতন্ত্রেও খারাপ এবং ভালো ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। এতে করে পাচনতন্ত্রে বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হয়। সেত্রেক্ষে প্রোবায়োটিক সেবন করলে এই সমস্ত সমস্যা থেকে পরিত্রান পাওয়া যায়।
মহিলাদের ক্ষেত্রে প্রো-বির ব্যবহার-
মহিলাদের মাসিকের সময়, যখন তাদের ভ্যাজইনাতে (যোনিতে) উপকারী ব্যাকটেরিযা কমে যায় এবং ক্ষতিকর ব্যাকটেরিযা বৃদ্ধি পায়, যার ফলে যোনীর স্বাভাবিক ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। এই ভারসাম্য হীনাতার ফলে মহিলাদের সাদা স্রাব, দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব, ব্যাথা, চুলকানি এবং জ্বালাপোড়া হতে থাকে। এই অবস্থায় প্রোবায়োটিক সেবন করলে যোনিতে মাইক্রোফ্লোরার স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আসে।
আমাদের প্রো-বি ক্যাপসুলটি ৩ টি প্রোবায়োটিক এবং ১টি প্রি -বায়োটিক এর সমন্বয়ে গঠিত একটি ঔষধ যা মানুষের অন্ত্রের এপিথেলিয়াল সেল এর উপর কাজ করে আন্ত্রিক প্রদাহ নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি পরিপাকতন্ত্রে অবস্থিত ল্যাকটিক এসিড উৎপাদনকারী ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে পরিপাকতন্ত্রের পি. এইচ কমায় এবং এভাবে পরিপাকতন্ত্রের ক্ষতিকর জীবাণু ধ্বংস করে। তাছাড়াও এটি ক্ষতিকর জীবাণুদের অন্ত্রের সাথে বাইন্ড করতে বাঁধা প্রদান করে থাকে এবং আমাদের বিভিন্ন রোগ বালাই থেকে রক্ষা করে।
ল্যাক্টোব্যাকের মাধ্যমে এলার্জি /এটপিক ডার্মাটাইটিসে কি কি উপকার পাওয়া যায় ঃ
স্বাভাবিক ভাবে জন্ম গ্রহণ করা নবজাতকরা মায়ের বার্থ ক্যানেলে উপস্থিত উপকারী ব্যাকটেরিয়া পরিবেশগত ভাবেই মায়ের বার্থ ক্যানেলে থাকা বিআর–আইএল–১২- টিএইচ১ br IL-12-Th1 এর সংস্পর্শে রক্তের টিএইচ১ কোষ সক্রিয় হয় । যার ফলে স্বাস্থ্যকর নবজাতক পেয়ে থাকি। আর যারা সিজারিয়ান নবজাতক তাদের মায়ের সিজার আপারেশনের মাধ্যমে সরাসরি বের করে আনা হয়ে, যার বিআর–আইএল–১২- টিএইচ১ এর স্পর্শ থেকে পরিবেশগত ভাবেই বঞ্চিত হয়ে অসুস্থ্য নবজাতক বা এলার্জিক নবজাতক হয়ে থাকে। এসব ক্ষেত্রে ল্যাক্টোব্যাসিলাস এসিডোফিলাস, বিফিডোব্যাকটেরিয়াম বিফিডাম্ প্রাথমিকভাবে এলার্জি ও এটপিক ডার্মাটাইটিস প্রতিরোধ করতে সহায়তা করেবে ।
Reviews
There are no reviews yet.