বর্তমান সময়ে আমাদের দেহের স্থুলতা বৃদ্ধি বা অতিরিক্ত মোটা হওয়া একটি কমন সমস্যা। স্থুলতা হল শরীরের এমন একটি অবস্থা যখন শরীরে স্বাভাবিকের তুলনায় অতিরিক্ত স্নেহ বা চর্বি জাতীয় পদার্থ জমা হয়।
এ স্থুলতার সঙ্গে দেহের আরো বিভিন্ন রোগের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। যেমন: হৃদরোগ,দ্বিতীয় পর্যায়ের ডায়াবেটিস, হার্ট অ্যাটাক, উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট ফেইলিওর, উচ্চ কোলেস্টেরল, পলিসিস্টিক ওভারি, বন্ধ্যাত্ব, গর্ভকালীন জটিলতা, ভ্রূণের মৃত্যু, স্ট্রোক, মাইগ্রেইন, কোমর, হাঁটু ও পায়ে ব্যথা, পা ফুলা থাকা, বগলের নিচে ও ঘাঢ়ে কালচে দাগ পরা, লিভারে চর্বি জমে যাওয়া, এসিডিটির সমস্যা, ঘুমের মধ্যে শ্বাস–প্রশ্বাসের সমস্যা ও নাক ডাকা, এজমা, পুরুষের যৌন ক্ষমতা হ্রাস, পুং লিঙ্গ ছোট থাকা, কিডনির কার্যক্ষমতা কমে যাওয়া, খাদ্যনালীসহ শরীরে বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধিসহ আরও অনেক রোগ ও জটিলতা দেখা দিতে পারে।
বর্তমানে আমাদের শারীরিক পরিশ্রমের সুযোগ এবং পরিমান নানা কারনে অনেক কমে গেছে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে কোনও রকম শারীরিক পরিশ্রমই হয় না। বিশেষ করে শহরাঞ্ছলে অপরিকল্পিত নগরায়ন এবং বিলাসবহুল জীবনযাপন স্থুলতার জন্য দায়ী। উদ্বিগ্নতা, ডিপ্রেশন, ভাবাবেগ, ব্যথা ইত্যাদি হলে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি খাওয়া হয়। অতিরিক্ত ক্যালোরিযুক্ত খাবার খাওয়া, ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া, বংশ পরম্পরায় জিনগত বৈশিষ্ট্য থেকে প্রাপ্ত গুণাবলী, ইত্যাদিই মূলত আমাদের স্থুল বা মোটা হয়ে যাওয়ার জন্য দায়ী। বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থার হিসেব মতে ২০১৬ সনে ১৯৭৫ সনের চেয়ে ৩ গুন বেশী দৈহিক স্থুলতা রোগী ছিল। এবং প্রতিনিয়ত তা বেড়েই চলছে ।
সাধারণতো নিয়মিত ব্যায়াম ও ঔষধ সেবনের আমরা আমাদের দেহ থেকে অতিরিক্ত চর্বি/মেদ কমাতে পারি। তবে আমাদের এই ব্যস্ত যান্ত্রিক জীবনে প্রত্যেক দিন ব্যায়াম করার জন্য সময় বের করা কষ্টকর এছাড়াও বিশেষ করে শহরের সব জায়গা খেলার মাঠ না থাকায় সকালে জগিং করাও সম্ভব হয় না।
এক্ষেত্রে স্থুলতা কমানোর একমাত্র সমাধান হতে পারে সিট্রাম্যাক্স। এর দুটি মূল উপাদান হলো গার্সিনিয়া ক্যাম্বুজিয়া ও জিমনেমা সিলভেসট্রি ।
গার্সিনিয়া ক্যাম্বুজিয়া :
গার্সিনিয়া ক্যাম্বুজিয়া তে থাকা হাইড্রোক্সিসাইট্রিক অ্যাসিড (৬০%) ওজন হ্রাসকারক হিসেবে কার্যকর। এই হাইড্রোক্সিসাইট্রিক অ্যাসিড, গার্সিনিয়া ক্যাম্বুজিয়া ফলের শুষ্ক খোসা থেকে নেওয়া হয়। হাইড্রোক্সিসাইট্রিক অ্যাসিড সেরোটোনিন রিসেপ্টরের জ্বীন এন কোডিংর মাধ্যমে জিন নিয়ন্ত্রন করে থাকে। এই জিন নিয়ন্ত্রণকারী রাসায়নিক উপাদান ওজন হ্রাস করতে সাহায্য করে।
জিমনেমা সিলভেসট্রি :
জিমনেমা সিলভেসট্রি একটি গুরুত্বপূর্ণ ঔষধি উপাদান যা “গুরমার” নামে পরিচিত। এটি রক্তে থাকা গ্লুকোজের পরিমান কমাতে সাহায্য করে। এটি প্রাকৃতিক ভাবে ওজন হ্রাস করে, যা আমাদের দেহে ক্ষুদ্রান্ত্রে গ্লুকোজ শোষণ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। জিমনেমা আমাদের দেহে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় এবং অগ্নাশয়ের কোষ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। যার কারণে প্রাকৃতিক ভাবে আমাদের শরীরের ওজন হ্রাস পায়।
Reviews
There are no reviews yet.