আমাদের দেহে সবচেয়ে বেশী পরিমাণে যে খনিজ লবণটি পাওয়া যায় তা হচ্ছে ক্যালসিয়াম । ক্যালসিয়ামের একটি অন্যতম উৎস হচ্ছে কোরাল । কোরাল ক্যালসিয়াম এর বিভিন্ন ধরনের উৎস রয়েছে, এদের মধ্যে কিছু জৈব ক্যালসিয়াম কার্বনেট এবং কিছু অজৈব ক্যালসিয়াম কার্বনেট। প্রকৃতপক্ষে, কোরাল ক্যালসিয়ামের মধ্যে অজৈব ক্যালসিয়াম। প্রাকৃতিক কোরাল ক্যালসিয়াম পরিবেশবান্ধব; এটি সাধারণত জীবাশ্ম (মৃত) প্রবাল থেকে সংগ্রহ করা হয় এবং জীবিত প্রবালের পক্ষে ক্ষতিকারক নয়। কোরাল ক্যালাসিয়াম সমুদ্রে প্রাপ্ত জীবাশ্মের অবশিষ্টাংশে পাওয়া যায়, যে জীবাশ্মগুলো সৃষ্ট হয়েছিলো সমুদ্র সৃষ্টির প্রারম্ভিক সময়ে।
কিছু ক্যালসিয়াম যৌগ প্রাচীন মানুষদের কাছে পরিচিত ছিল, যদিও তাদের রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য সতেরো শতক পর্যন্ত অজানাই ছিল। ১৮০৮ সালে হামফ্রে ডেভি ক্যালসিয়ামের অক্সাইড যৌগের তড়িৎ বিশ্লেষণের মাধ্যমে বিশুদ্ধ ক্যালসিয়ামকে প্রথমবারের মতো পৃথক করেন। তিনিই এই উপাদানটির নাম ক্যালসিয়াম রেখেছিলেন। ক্যালসিয়ামের যৌগগুলো বিভিন্ন শিল্পে ব্যাপভাবে ব্যবহৃত হয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়: ঔষধ শিল্পে মানবদেহের পরিপূরক খাদ্য হিসেবে। ক্যালসিয়াম আয়নসমূহ জীব এবং জীবকোষের শারীরবৃত্তীয় এবং জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়াগুলিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মানবদেহের হাড় গঠনে ক্যালসিয়ামের ভূমিকা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। শরীরের মোট ক্যালসিয়াম থেকে ১ ভাগ ক্যালসিয়াম শারীর বৃত্তীয় কার্যক্রমে, বাকী ৯৯% ক্যালসিয়াম ব্যবহৃত হয় আমাদের হাড়ে এবং দাঁতের গঠনের জন্য ।
এছাড়াও কোরাল ক্যালাসিয়াম অষ্টিওপরোসিস এর প্রতিরোধ ও চিকিৎসায়, অষ্টিওম্যালাসিয়া. টিটানি, হাইপো–প্যারাথাইরয়েডিজম. অষ্টিউজেনেসিস এ দেয়া হয়। এছাড়া খাদ্যে ক্যালসিয়াম এর ঘাটতি পূরণে, গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানে ব্যবহৃত হয়।
Reviews
There are no reviews yet.