প্রোবায়োটিক হচ্ছে মানুষের অন্ত্রে স্বাভাবিকভাবে বসবাসকারী ভাল বা উপকারী ব্যাকটেরিয়া সমূহ। আমরা সাধারণত ব্যাক্টেরিয়া বলতে বিভিন্ন রোগ জীবাণুকে বুঝাই । তবে ব্যাকটেরিয়া সাধারণত ২ ধরনের হয়ে থাকে। এদের একটি উপকারী ব্যাকটেরিয়া এবং অপরটি ক্ষতিকর ব্যাকরেরিয়া। উপকারী ব্যাকটেরিয়া সমূহকে আমরা প্রোবায়োটিক বলে থাকি। উপকারী ব্যাকটেরিয়াগুলি আমাদের শরীরের স্বাভাবিক কাজ ও স্বাস্থ্য রক্ষা করে এবং ক্ষতিকর জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। অন্যদিকে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া অন্ত্রের মাইক্রোফ্লোরার স্বাভাবিক ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়, যার ফলে আমরা অসুস্থ্য হয়ে পড়ি ও রোগাক্রান্ত হই।
ডায়রিয়া এর ক্ষেত্রে বায়োকিড
ডায়রিয়া বা উদরাময় হল প্রতি দিন কমপক্ষে তিনবার পাতলা বা তরল মলত্যাগ করার ফলে যে রোগ হয় তাকে বোঝায়। এটা প্রায়শ কয়েক দিন স্থায়ী হয় এবং এর ফলে অতিরিক্ত তরল বেরিয়ে যাওয়ার কারণে জলশূন্যতা দেখা দিতে পারে।
ডায়রিয়া আমাদের দেশে খুব প্রচলিত একটি সমস্যা। সাধারণত বিভিন্ন ধরণের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার কারণে আমরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে থাকি । এটি বড়-ছোট সবারই হতে পারে। তবে ছোটদের বেলায় এটি মারাত্মক আকার ধারণ করে। কারণ, শিশুদের ওজন বড়দের তুলনায় কম থাকে। তাই তারা খুব দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়ে।
বিশ্বজুড়ে শিশু মৃত্যুর দ্বিতীয় বৃহত্তম কারণ হলো ডায়রিয়া। সারা বিশ্বে প্রতিদিন গড়ে ২,১৯৫ জন শিশু মারা যায় শুধু মাত্র ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে, যা কিনা এইডস, ম্যালেরিয়া এবং হাম এ আক্রান্ত মোট রোগীর থেকেও বেশি।
আই বি এস এর ক্ষেত্রে বায়োকিড
আই বি এস হচ্ছে ইরিটেবল বাউয়েল সিনড্রোম যা অন্ত্রের স্বাভাবিক কার্যক্রমকে ব্যাহত করে । এই রোগে পেট ব্যথা, পেটে গ্যাস, পেট ফুলে থাকে , কখনও পাতলা পায়খানা ও কখনও কোষ্টকাঠিন্য হয়। অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়া কমে গেলে অন্ত্রের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়ে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে বায়োকিড সেবন করলে অন্ত্রের স্বাভাবিক কাজকর্ম ঠিক থাকে, যেমন উপকারী ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি ঘটে এবং অন্ত্রের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসে।
আমাশয় এর ক্ষেত্রে বায়োকিড
অ্যামিবা এবং সিগেলা নামক এক ধরনের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া দ্বারা মানবদেহের পরিপাকতন্ত্রে (গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল) বাসা বেঁধে যে ঘা বা ইনফেকশনে পেটে কামড়ানো সহ মলের সাথে পিচ্ছিল আম অথবা শ্লেষ্মা যুক্ত রক্ত যাওয়াই হলো আমাশয়। অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়া থেকে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার পরিমান বেড়ে গেলে অন্ত্রের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়ে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে বায়োকিড সেবন করলে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি ঘটে এবং অন্ত্রের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসে।
এছাড়াও বায়োকিড ক্ষুধামান্দ্য, পাকস্থলির গোলযোগ, এলার্জি ইত্যাদি প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে ।
Reviews
There are no reviews yet.